না ফেরার দিন
- সায়েল আচার্য ১৭-০৫-২০২৪

হোক সে না ফেরার দিন,হোক সে না বলার কথা,
অন্তরের মাঝে বয়ে যায় যেন এক চির শূন্যতা
কোথায় আমরা ছিলাম আর কোথায় আমরা আছি ,
বক্ষ বিদীর্ণ করে বয়ে যায়, সময়টা যেন একটা কাচি ।
শৈশব, কৈশোর পার হয়ে যৌবনে পা দিল যারা
অতীতের ফেলে আসা দিন্দিগুলি তাদেরকে দেয় পূর্ণমাত্রায় নাড়া
মায়ের হাত ধরে চলা, বাবার আদর,
ছিল যে একটা দিন
মানুষের বেড়ে উঠার পথে সময়টা যে বড়ো ক্ষীণ ।
প্রবীণদের নীতি আর বাণী যৌবোনদের দেয় সাড়া
যৌবনের দূত মোরা, অন্তরকে দেয় নতুনভাবে নাড়া ।

অন্তরে জমানো তীব্র ব্যথা মনকে করে আলিঙ্গন ,
জীবনটা যেন আলোর মতন - কোথায় গিয়ে যেন মিলবে কখন ।
ছোট থেকে বড় হওয়ার পথে আমরা যে শিখি পড়ি ,
মনের গভীরে জমে থাকা ইচ্ছার দমটা তখন যেন বুঝি ।
শৈশবের স্মৃতি মনকে জ্বালায় ,
আমরা যা পেতাম
উচ্চশিক্ষার গণ্ডী পার হয়ে আমরা মনকে ,
নতুনভাবে উপহার দিতাম ।
বয়স নামক বস্তুটা মোদের করে দিয়েছে চির ব্যবধান ,
অতীতে ফিরে যেতে পারবোনা বলে,
পুরনো স্মৃতিগুলিকে করি সন্ধান ।
ভগ্ন হৃদয়, পরে থাকা মন, কোথায় যেন কড়া দেয়
না ফেরার দিনকে রোমন্থন করি যেন সাড়া দেয় ।

দগ্ধ সমাজ, দগ্ধ হৃদয়,
পরে রয়েছে যেটা
অতীতের নির্বাসনের ফল যেন
তেমনভাবে এটা ।
কত হাসতাম, কত খেলতাম ,
আর কত কিছু
সময়ের দাপটে ছিনিয়ে নিয়েছে
অতীতের সবকিছু ।
নতুন কিছু শিখতে পেতাম না ফেরার সেই দিনগুলিতে,
অসম্ভবকে সম্ভব করে ছিলাম হারানো সেই সময়টাতে ।
জনমানস কোলাহলপূর্ণ সময় ছিল যেটা,
মনের অন্তরালে স্থান পেয়েছে হারানো সেই কথা ।
অতীতের সেই ভাবনাগুলি ছিল,
অস্থির ভঙুরে গড়া
না ফেরার সেই দিনগুলিকে নিয়ে যেন,
নতুন কিছু করা ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।